Friday, March 29, 2024

Friday afternoon on Facebook: Bridging Brotherhood



In a recent interaction on a YouTube video commemorating Pakistan's National Day parade, I extended warm regards and admiration from my home country, Bangladesh. Expressing appreciation for Pakistan's military strength, discipline, patriotism, and commitment to Islam, I aimed to foster goodwill between our nations. However, what ensued was a familiar scenario, one that has become all too common in online spaces. Certain Indian commentators seized the opportunity to critique my gesture, questioning my loyalty as a Bangladeshi for acknowledging our departed brother’s military prowess.


This incident highlights a recurring phenomenon on the internet: the unwelcome intrusion of Indian commentators on Pakistani or Bangladeshi content. Their comments often carry a tone of intimidation and hostility, seemingly threatened by any display of camaraderie between our two brotherly nations. It appears that the prospect of Bangladesh and Pakistan rekindling their fraternal bond, despite historical complexities exacerbated by Indian intervention, unsettles these commentators.

Furthermore, these Indians frequently resurrect the painful history of Bangladesh's liberation war of 1971, repeatedly highlighting the disturbing history of massacres of innocent Bangladeshi people at the hands of the Pakistan Army. Such reminders serve to exacerbate tensions and hinder efforts towards reconciliation and mutual understanding.

In response to this recurring behavior, I propose a term to encapsulate this phenomenon: Ever (so) Intimidated Indians (EII). This term reflects the apparent unease and apprehension felt by certain Indian individuals when witnessing gestures of solidarity between Bangladesh and Pakistan. As citizens of our respective nations, it is imperative that we refrain from being provoked or swayed by the comments of the EIIs. Instead, let us continue to nurture and strengthen the bonds of brotherhood that connect our people, undeterred by external interference.

In conclusion, while online platforms offer avenues for cross-cultural exchange and understanding, they also expose us to divisive rhetoric and unwarranted scrutiny. By remaining steadfast in our commitment to fostering amicable relations between Bangladesh and Pakistan, we can overcome such challenges and pave the way for a future built on mutual respect and cooperation. #bangladeshpakistanbrotherhood

Sunday, February 26, 2023

মনে পরে বাবার কথা

 বাবার মুখের একটা কথা মনে পড়লে হাসি ধরে রাখতে পারি না. এইতো কিছুদিন আগের কথা. কাকে যেনো বৈবাহিক জীবনে জটিলতার বিষয়ে কিছু উপদেশ দিচ্ছিলাম বা, কোনো এক আত্মীয়ের বৈবাহিক জীবনের জটিলতা ব্যাখ্যা করছিলাম. কথা শেষ হতেই অনেক্ষন মুখে মুচকি হাসি নিয়ে চুপকরে আমার লেকচার শুনতে থাকা আমার অসুস্থ বাবা যোগ করে দিলেন, " আমি আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি". গণিত আর শিক্ষক-প্রশিক্ষণের প্রফেসর আমার বাবা, এক সময় গ্রাম্য মঞ্চে পারফর্ম ও করতেন. ডায়লগ এর টাইমিং উনার একটু আধটু জানা ছিল বৈকি. কারণ, এই নিখুঁত টাইমিং এর সফিস্টিকেটেড সিঙ্গেল ডায়ালগ জায়গা মতো ছাড়ারপর অডিয়েন্স এর অট্টহাসি থামতে সবারই অনেক কষ্ট হচ্ছিলো. হে আল্লাহ, আপনি আমার বাবার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত দান করুন , তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন, আমিন.

Wednesday, December 21, 2022

Well, no harm in having a dream !!


 You know what, I feel that my romantic time with my wife (Yes, I still wish In shaa Allah) that will resonate in my heart would be taking the lady on the back carrier of a village bicycle riding along a rural clay road of Pakistani Punjab with blooming mustard fields on each side. Now if there's any inspiration drawn from any Bollywood content behind this plan, am not really sure). And I think a beautiful sunny winter morning would be the perfect time for that blissful ride. Well, occasionally there could be shades of roadside trees. Need I say we both should be wearing traditional (suitable and appropriate) rural Punjabi attire? Gotta learn some Punjabi dialogues to reach out to the lady's heart in those moments. You know, with a non-Punjabi husband, an amateur cyclist carrying a living backload, it's worth checking if she's getting her fair share of this joy. These linguistic skills can come in handy in case the lady in the back offers services (voluntarily) like GPS, rearview camera, proximity sensors, speedometer and more in Punjabi. Now, having said all that, I also need to find out the clay road as plane as possible to make the ride less bumpy. Oh !! Some more works pop up: Wonder what would be an ideal addition to the bike to make it serve the purpose efficiently:  heavy bumpers/ liquid suspension on both wheels/ helmets for both/ or a weighing scale at the back !!? This will however remain an open question until that time, In shaa Allah. 


Friday, June 24, 2022

Remembering my father, Late Principal (retd) Muhammad Ramizuddin Ahmed


 Date: December 13, 1982. "There you are....!!! That's the way, my son...!! Look at that ..!! That's a good camera...,isn't it !!?!!" I wonder what he was saying at that moment cuddling super cranky me, his just a year old first born. But, that summarizes his dealings with me, ie the tone or the order of our relationship. A perfect mentor, a perfect teacher, an influencer, a strict commander, an expert personality analyzer, designer & builder, a great mathematician, a sports enthusiast, a patient instructor, a fearlessly and fiercely stubborn uncompromising bloke against any sort of oppression, bullying or injustice, a superb warden of men's hostel, excellent manager, skilled organizer, unparalleled conflict resolver, a go-to person at his workplace to carry out high-intensity responsibilities, a research loving mathematics and primary & secondary education specialist with research experience at home and abroad.........and the list goes on Ma shaa Allah , Al hhamdulillah. Actually , I just can't count all the ways how his footprints along with his instructions still are guiding me. It's now been exactly a year since he left us all. But still, not a single day passes that I don't feel his presence in my heart directing me in the way to think, decide, act and judge when needed. It's amazing how a father with his greatest instrument of parenthood made a lifelong instruction manual for all his children, SubHhaan Allah !! People celebrate Father's Day sharing pics with their fathers online. I chose this old one that best describes my Dad's parenthood. Everybody, please keep him, Marhoom (Late) Principal (retd) Muhammad Ramizuddin Ahmed in your prayers. May Allah bless his soul Magfirah, place him in Zannatul Firdaus and enable his children, students, and disciples to follow his instructions properly in their search for true success in life, Ameen.

Thursday, June 10, 2021

A Pic of Golden Era Dhaka Mohammedan Football Club

 


স্বর্ণযুগের মোহামেডান টিম, ১৯৮৭। Mohammedan Sporting Club Football Team in the final days (1987) of Dhaka's Premier Division Football League's golden era. Suddenly, I get 34 years back to those club football-crazy days when I, as just a 5/6-year-old kid used to be a staunch Mohammedan supporter !! especially while playing against "Abahoni Krira Chakra". To most of Dhaka's club football fans in those days, the main attraction of the premier league every year was all the matches between these two archrivals. I still remember the days while we, kids of Barisal Polytechnic Institute's staff quarter used to chant slogans against Abahoni waving homemade/readymade flags, banners and posters of Mohammedan Sporting Club. This would start right from the first day of "players draft" in clubs through team switching/ contract renewal/new hire/kidnapping by the club fans(Yes !! it's a fact)....One of the popular slogans was " ইলিশ মাছের তিরিশ(ত্রিশ) কাঁটা , বোয়াল মাছের দাড়ি।..

আবাহনী ভিক্ষা করে মোহামেডানের বাড়ি "
Now waiting for the reply from the Abahoni fans....

Monday, September 7, 2020

অফসাইডে ধরা খেলাম আরেক অফসাইডারের হাতে

 


একটি খাদ্য সরবরাহ মূলক ব্যবসার সম্ভাবতা যাচাই করতে গিয়ে ,  এব্যাপারে  অভিজ্ঞ এক মহিলা ব্যবসায়ীর পরামর্শে আমি মহিলা উদ্যোক্তাদের একটি ফেইসবুক গ্রূপে যুক্ত হলাম।  এমনিতে এটা একটা মহিলাদের গ্রূপ , এখানে ঢোকাটা ঠিক হলো কিনা !!? খাবার সরবরাহ ব্যবসার সাথে জড়িত অনেকে ওখানে থাকলেও কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করতে গেলে কে কি বলে বসে সেই ভয়ে ভয়ে ২৪ ঘন্টা পার না করতেই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা লাভ করলাম !! একজন মহিলা উদ্যোক্তা সেখানে কালো জাম ( গুলাব জামুন ) মিষ্টি তৈরির একটি ভিডিও পোস্ট করলেন। আমি বেশ আগ্রহের সাথে সেই পোস্টের নিচে কমেন্টে এ আমার কিছু প্রশ্ন রাখলাম।  মিষ্টির দর কত !!? ঢাকার ভিতরে সরবরাহ খরচ কেমন !!? ইত্যাদি।  উদ্যোক্তা আমার  প্রশ্নগুলোকে ইনবক্সে পাঠাবার জন্যে বললেন। কিন্তু আমাকে সম্বোধন করলেন , " আপু " ডেকে !! হতে পারে সেটা ভুল করে অথবা  ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার ওখানে উপস্থিতিকে প্রশ্ন করার জন্যে। সেটাও ঠিক ছিল , ব্যাপারটা ওই গ্রূপের ভিতরেই থেকে যেত। কিন্তু ব্যাপারটা আমি টের পেলাম অফিসাইডে থাকা আমার পরিচিত আরেক ক্রিমিনালের ( অনেক পুরোনো , একবারে আদি স্কুল লাইফের ক্রিমিনাল) ইনবক্স মেসেজ থেকে। আমার ধারণা ফাজিলটা আগে থেকেই এই গ্রূপে ছিল !! কমেন্টের স্ন্যাপশট পাঠিয়ে আমাকে লিখলো , , " কিরে তোরে দেহি মানুষজন " আপু " ডাকে !!?"...... আমি জানি ব্যাপারটা এতোক্ষনে আমার পুরো বন্ধু মহলে ব্রডকাস্ট হয়েগেছে। আর রক্ষা নেই !!!!......বলুনতো ..এইডা কিসু হইলো !!?

Saturday, August 22, 2020

কিছু কিছু বিভ্রান্ত দুর্বল ঈমানের মুসলমানদের হিনমন্নতা প্রসঙ্গে

 আর পারছিনা !! আর চুপ করে থাকাটা ঠিক হবে না। আজকে আমার এ ব্যাপারে কিছু বলা দরকার :

প্রথমে তুলে ধরছিইলসাম এবং এর অনুসারী মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিধর্মীদের এক সুনিপুন ষড়যন্ত্র মূলক কিছু কথা :
.........................................................""""""""""
লর্ড বার্নার্ড' শ বলেছিলেন, "ইসলাম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং মুসলমানরা হচ্ছে সর্ব নিকৃষ্ট অনুসারী।"
.........................................
"ইসলামিক দেশগুলি কতখানি ইসলামিক এই নিয়ে গবেষণা করেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হুসেন আসকারী। ইসলাম ধর্মে রাষ্ট্র ও সমাজ চলার যে বিধান দেয়া হয়েছে তা যে দেশগুলি প্রতিদিনের জীবনে মেনে চলে তা খুঁজতে যেয়ে দেখা গেলো,-- যারা সত্যিকার ভাবে ইসলামিক বিধানে চলে তারা কেউ বিশ্বাসী মুসলিম দেশ নয়।
স্টাডিতে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে। গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলমানরা নামাজ, রোজা, সুন্নাহ, কোরআন, হাদিস, হিজাব, দাড়ি, লেবাস নিয়ে অতি সতর্ক কিন্তু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ইসলামের আইন মেনে চলেনা।
..............................................""""""""""""""""".................................
এবার সবার আগে বলুন যে এই মুসলিমদের খেলাফত, রাষ্ট্র , সরকার ব্যবস্থা , সমাজ , সংস্কৃতি সর্বমোট কত শত বছর এই বিধর্মী ষড়যন্ত্র কারীদের মাথাব্যথার কারণ হয়েছিল। আর সেই সময়টাতে মুসলমানদের মধ্যে পাশ্চাত্যের বিধর্মীদের এরকম উদ্ভট বক্তব্যকে প্রশ্রয় দিয়ে প্রচার করে নিজ জাতিকে ঘৃণা করার হীনমন্যতা ছিল কিনা। নাকি ব্যাপারটা ছিল পুরোপুরি উল্টো। মানে মুসলমানদের নিজেদের ধর্মের প্রতি আনুগত্য , তাদের , শিক্ষা , সংস্কৃতি , শরিয়া , সরকার ব্যবস্থা , সমাজ ব্যবস্থা, বিজ্ঞান , চিকিৎসা, ব্যবসা , আধুনিক স্থাপত্য কলা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুসলমানদের অগ্রগতি দেখে বিধর্মীরা নিজেদের সম্পর্কে এধরণের ধারণা পোষণ করতো !!?
লক্ষ্য করে দেখুন , যেদিন থেকে আমরা মুসলমানেরা ঠিক এইভাবে আমাদের আলেমে দিন, প্রসিদ্ধ ইমাম গণ , নিজেদের শরিয়া , কুরআন , হাদিস থেকে দূরে সরে গিয়ে বা তাদেরকে অগ্রাহ্য করে বার্নার্ডশ এর মতো এরকম আরো অনেক বিধর্মী মনীষী, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, ব্যাবসায়ী , ধর্মযাজক প্রভৃতি জনের ইসলাম এবং ইসলামের অনুসারী মুসলমানদের সম্পর্কে তাদের হাস্যকর অব্জার্ভেশনকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি তখনথেকেই আমাদের , মানে মুসলমানদের পতনের শুরু হয়েছে। এখন আমরা মুসলমানেরা ক্লিনটন, বুশ , ওবামা এই তিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর ছবি পোস্ট দিয়ে তার নিচে অনেক আবেগ ভরা কোথায় লিখি এরাই নাকি প্রকৃত ইসলামিক নিয়মে নিজেদের দেশকে পরিচালিত করেছেন। আমি বেশি জুটি তর্ক আর বিশ্লেষণ মূলক কথা বলে আপনাদের সময় নষ্ট করবো না। কারণ, আমি জানি অনেক মুসলমান ভাই পাশ্চাত্যের প্রচারমাধ্মের চাকচিক্য ভরা চেহারা আর তার বিপরীতে বর্তমান মুসলিম দেশ গুলোর দুর্বলতা গুলোকে তুলে ধরে , তাদেরই "বিজ্ঞগণের" দেয়া বিশ্লেষণে একেবারে বিমোহিত হয়ে আছেন। আপনাদের কথা কি বলবো !! আমি নিজেইতো সারাজীবন ইংরেজি শিখবো, ইংরেজি শিখবো , আমেরিকান কিংবা ইংরেজদের মতো করে ইংরেজি বলবো করে এসেছি। তার দশভাগের এক ভাগ আগ্রহ তো আমি আরবি শেখার জন্যে কখনো প্রকাশ করিনি। যাইহোক , বর্তমান বাস্তবিকতার সাপেক্ষেই সব মুসলমান ভাইদের একটি হিসাব করতে অনুগ্রহ করছি। যেকোনো মুসলিম প্রধান এবং মোটামুটি ইসলামিক আইন মেনে চলা দেশের সমাজ এর সাথে যেকোনো অমুসলিম দেশের সমাজের একটি তুলনা করতে বলছি। মুসলিম বিশ্বের সবচাইতে দুর্বল সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি দেশ তুলে নিন, এই ধরুন আফগানিস্তান, লিবিয়া অথবা সিরিয়া। আর এবার বিধর্মীদের উন্নত বিশ্বের আপাত দৃষ্টিতে সবচাইতে শান্তিময় কোনো দেশ তুলেনিন। ধরুন নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ডেন্মার্ক্, লুক্সমেম্বারগ , কানাডা বা আপনার যেটা ইচ্ছা। এবার একজন মুসলমান হিসেবে চিন্তা করুন কোন দেশের সামাজিক ব্যবস্থাতে ইসলামিক নিয়ম রীতি পালনে , আপনার সন্তানকে পুরোপুরি ইসলামিক রীতিতে লালন পালন এবং শিক্ষা প্রদানে আপনি বেশি সাবলীল !!? ........পোশাক-আশাক এবং চাল-চলনে অশালীনতা, অবাধ যৌনাচার, বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক, বৈবাহিক সম্পর্কের অস্থিতিশীলতা, পারিবারিক এবং আত্মীয়তার সম্পর্কের দুর্বল অবস্থা, বর্ণ বৈষম্য এবং ধর্ম বৈষম্য মূলক অপরাধ , সমকামিতার মতো নিকৃষ্ট ধ্বংসাত্মক অপরাধ কোন দেশগুলোর সমাজে বেশি !!? ....................................................................
শেষ করবো আমার ব্যাক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা দিয়ে। একদিন আবুধাবি এর মেরিনা তে আরেকজন বাংলাদেশির সঙ্গে হাটছি। সকালের রৌদ্রোজ্জ্বল সুন্দর পরিবেশ। এর মাঝে দেখা হলো বেশ বয়স্ক এক জার্মান দম্পত্তির সাথে। তারা নিজেথেকেই আমাদের ফোন নিয়ে দুজনের এক সাথে ছবি তুলে দিলেন। তারপর অনেকটা মিষ্টি সুরে একটা অভিযোগ করে বসলেন। " এটা না তোমাদের মুসলমানদের দেশ !!? তাহলে আমরা যে হোটেলে উঠেছি , সেখানে রাতের বেলা কেন এতো হৈ - চৈ, মিউজিক , নাচানাচি আর ওই সব !!? আমরাতো এই দেশে একটু শান্তিময় পরিবেশ ভেবে এসেছি " এই ধরণের একটি অভিযোগ।
আমার প্রগলভ বাংলাদেশী মন এই অপমানটা সহ্য করে অথবা মেনে নিয়ে মোটামুটি একটা উত্তর দিয়ে দিলাম , "আসলে আমাদের দেশ বাংলাদেশ এটা নয়। এটা আরব আমিরাত, কাগজে কলমে যদিও মুসলমানদের দেশ তবে তারা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকেই নিজেদের করে নিয়েছে হয়তো। "
সেই সফরেই দুবাইতে একটি বিশাল বিপণিবিতানে লিফটের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই এক মার্কিন বা কানাডিয়ান মহিলা বেশ ক্রুর শোর আমাদের ভর্ৎসনা করতে লাগলেন , ওহীল চেয়ার এ বসা তার মা কিংবা বাবাকে পাশ কাটিয়ে কেন আমরা লিফটের সামনে এসে দাঁড়ালাম, অথচ এতো মানুষের মাঝে ব্যাপারটা আমরা লক্ষই করিনি। আমি তার কাছে বার বার ক্ষমা প্রার্থনা করতে করতে লক্ষ্য করলাম, সেই পাশ্চাত্যে মহিলাটি আমাদের ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপই করছেন না , বরং আরো কিছুক্ষন তার ক্ষোভ ঝেড়ে তার বাবা কিংবা মা কে লিফটে উঠিয়ে বিদায় নিলেন , অনেকটা বিজয়ীর বেশে।
শেষ কথা হলো তেরোশো বছরের মুসলিম খিলাফতের শৌর্য এবং পরাক্রমতার কাছে তাদের হেরে যাওয়া এবং পিছিয়ে থাকাটা , আমাদের কেউ কেউ ভুলে গেলেও এই বিধর্মীরা , এই বিধর্মী মনীষীরা ভুলে যায়নি। তারা সব সময়ই চায় যাতে দুর্বল ঈমানের মুসলমানেরা নিজেদের ব্যাপারে তাদেরই চাপিয়ে দেয়া এরকম চায়ভুগে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে , তাদেরকে আদর্শ হিসেবে বেছে নেই। তাছাড়া কিছুদিন আগে শুনলাম পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করা আছে যে ইহুদি-নাসারাগণ ততক্ষন পর্যন্ত কোনো মুসলমানের উপরে খুশি হবেন না যতক্ষণ না সে তাদের ধর্মের অনুসারী না হন। নাউযুবিল্লাহ বিন জালিক। আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দেন করুন। আমিন।